জেলাকে শিশু শ্রম মুক্ত করতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া হবে: জেলা প্রশাসক

কিশোরগঞ্জ জেলাকে শিশু শ্রম মুক্ত করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় শিশু শ্রম নিরসন করার জন্য শিশু শ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। ডাটাবেজের মাধ্যমে এখানে শিশু শ্রমের কারণসমূহ নির্ণয় করা হবে। পরবর্তিতে তাদেরকে শিশু শ্রম থেকে নিবৃত্ত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) শ্রম আইন বাস্তবায়ন ও শিশু শ্রম নিরসনে সচেতনতা বাড়াতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন সেক্টরের মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

শহরের পশ্চিম হারুয়া এলাকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সভা কক্ষে দিনব্যাপী এই মতবিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) উপসচিব তরফদার মো. আক্তার জামীল ও সহকারী কমিশনার মোছা. আকলিমা বেগম।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এবং ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরে শিশু শ্রম নিরসনের বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (সাধারণ) সানতাজ বিল্লাহ, শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) রাবেয়া ইয়াসমিন, শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) বাবুল আক্তার ও শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) আনোয়ারুল ইসলাম।

এছাড়া প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ বাস্তবায়ন, শিশু শ্রম নিরসন, কারখানা/ দোকান/ প্রতিষ্ঠান শুক্রবার/ সপ্তাহে এক দিন বন্ধ রাখা, শ্রমিকের ন্যুনতম মজুরি, মাতৃত্বকালীন সুবিধা, সার্ভিস বেনিফিট, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহের ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়।

এতে অন্যদের মধ্যে পরিবহন নেতা হেলাল উদ্দিন মানিক, কিশোরগঞ্জ বেকারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজমল খান, ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।